Type Here to Get Search Results !

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার ধারণা ও এর কৌশল কি কি? (What are the concepts and strategies of personal health care?)

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার ধারণা ও এর কৌশল কি কি নিয়ে বিস্তারিত বর্ননা করা হল। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার ধারণা ও এর কৌশল অনেক গুরুত্বপূর্ন।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার ধারণা ও এর কৌশল কি কি?

শারীরিক সুস্থতা আনন্দময় জীবনের পূর্বশর্ত। শরীর সুস্থ না থাকলে পড়ালেখায় মন বসে না, কোনাে কাজে আনন্দ পাওয়া যায় না অর্থাৎ সুষ্ঠুভাবে কোনাে কাজ সম্পন্ন করা যায় না। কোনাে কাজ যথাযথভাবে সম্পাদন করা এবং সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপনের জন্য প্রয়ােজন নিজেকে সুস্থ রাখা। স্বাস্থ্যহীন দেহকে সুস্থ ও সবল করে তােলা কঠিন। সুস্থভাবে জীবনযাপনের | জন্য শরীরের যত্ন নিতে এবং স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম মেনে চলতে হয়।

স্বাস্থ্যরক্ষা কী? 

শরীরের গঠন ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখা এবং নীরােগ থাকাই হচ্ছে স্বাস্থ্যরক্ষা। নিজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা, স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য প্রয়ােজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ ও এ বিষয়ের সকল নিয়মকানুন মেনে চলাকেই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা বলে। স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়টি দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। শিশুকাল থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত একজন মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক উন্নতি ঘটে। এ সময়ে তাকে বয়স উপযােগী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। তাই দৈহিক স্বাস্থ্যের সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে হবে। কারণ শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। 

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল  গুলো কি কি? 

সুস্থভাবে জীবন যাপনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তােলার ভিত্তি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়মকানুন বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বাস্থ্যবিধির মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতা যেমন বাড়ি, বিদ্যালয়, আশপাশের রাস্তাঘাট প্রভৃতির পরিচ্ছন্নতা, প্রয়ােজনীয় ও পরিমিত ব্যায়াম, বিশ্রাম ও ঘুম, প্রয়ােজনীয় পরিমাণে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত খেলাধুলা করা ইত্যাদি। এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দেহ ও মনকে সুস্থ ও সবল রাখা যায়। শরীরের যত্ন বিষয়ক সকল কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করাও স্বাস্থ্যরক্ষার একটি প্রধান বিষয়। হাসি-খুশি ও প্রফুল্ল থাকা মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার একটি মৌলিক বিষয়। এজন্য বিনােদনমূলক কাজকর্ম যেমন- খেলাধুলা, ভ্রমণ, আনন্দদায়ক ও শিক্ষামূলক বইপত্র পড়া, বাগান করা, সংস্কৃতি চর্চা, ধর্মীয় আচার ইত্যাদি পালন করা প্রয়ােজন। সময়ানুবর্তিতা ও স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

সকল কাজ সময় মেনে সম্পন্ন করতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য পরিমাণমতাে খাওয়া, নিয়মিত ও স্বাভাবিকভাবে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস, মাদক দ্রব্য থেকে দূরে থাকা প্রভৃতি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশল। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশল সম্পর্কে জানা ও তা মেনে চলা একান্ত আবশ্যক।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.