হাই বন্ধুরা, ই-বুক(E-Book) কাকে বলে । ই-বুক (E-Book) কত প্রকার ও কি কি? । ই-বুক (E-Book) ব্যবহারের সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত জানব।
| ই-বুক(E-Book) কাকে বলে । ই-বুক (E-Book) কত প্রকার ও কি কি? । ই-বুক (E-Book) ব্যবহারের সুযোগ সুবিধা |
ই-বুক কি । ই-বুক কাকে বলে । What is E-Book?
ই-বুক বা ইলেক্ট্রনিক বুক বা ই-বই হলাে মুদ্রিত বইয়ের ইলেট্রনিক রূপ। যেহেতু, এটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সে কারণে এতে শব্দ, অ্যানিমেশন ইত্যাদিও জুড়ে দেওয়া যায়। অবশ্য এখন অনেক ইবুক কেবল ই-বুক আকারে প্রকাশিত হয়। এগুলাের মুদ্রিত রূপ থাকে না। ফলে অনেকেই এখন আর ই-বুককে মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্করণ বলতে নারাজ। এ ধরনের বই কেবল কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডার (ই-বুক রিডার) ব্যবহার করে পড়া যায়। প্রচলিত রিডারের মধ্যে অ্যামাজন ডটকমের (amazon.com) কিন্ডল (kindle) সবচেয়ে জনপ্রিয়।ই-বুক (E-Book) ব্যবহারের সুযোগ সুবিধা
• ই-বুক ডাউনলােডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়া সম্ভব। ব্যবহারিকভাবে ই-বুক সংরক্ষণের জন্য কোন লাইব্রেরি বা কক্ষের প্রয়ােজন নেই, কম্পিউটার বা রিডিং ডিভাইসে ই-বুক সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
• ই-বুক সহজে স্থানান্তরযােগ্য।
• ই-বুকে তথ্য অনুসন্ধান সহজতর।
• ই-বুক ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় বলে কোন ধরনের শিপিং বা প্যাকিং খরচ নেই।
• ই-বুক সহজে বিতরণ ও বিক্রয়যােগ্য।
• ই-বুক মুদ্রণযােগ্য বলে চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্ট করা সম্ভব, ফলে আর্থিক সাশ্রয় হয়।
ই-বুক (E-Book) এর প্রকাভেদ । ই-বুক (E-Book) কত প্রকার ও কি কি?
বিভিন্ন প্রকার ই-বুক বর্তমানে ই-বুকের বিভিন্ন প্রকারভেদ দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-বুক রয়েছে। তবে, সাধারণভাবে ই-বুককে নিম্নোক্ত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়:
মুদ্রিত বইয়ের হুবহু প্রতিলিপি। এই ধরনের ই-বুকগুলাে মূলত মুদ্রিত বইয়ের মতই হয়ে থাকে। সচরাচর এগুলাে পিডিএফ (পাের্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট) ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ বই একসঙ্গে অথবা অধ্যায় হিসাবে পাওয়া যায়।
মুদ্রিত বইয়ের হুবহু প্রতিলিপি। এই ধরনের ই-বুকগুলাে মূলত মুদ্রিত বইয়ের মতই হয়ে থাকে। সচরাচর এগুলাে পিডিএফ (পাের্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট) ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ বই একসঙ্গে অথবা অধ্যায় হিসাবে পাওয়া যায়।
• যে ই-বুকগুলাে কেবল অনলাইনে তথা ইন্টারনেটে পড়া যায়, এগুলাে সচরাচর এইচটিএমএল-এ প্রকাশিত হয়। এগুলােকে বই-এর ওয়েবসাইট বলা যায়।
• মুদ্রিত বই-এর মতাে কিন্তু কিছুটা বাড়তি সুবিধাসহ ই-বুক। এগুলাে বই-এর কনটেন্ট ছাড়াও পাঠকের নিজের নােট লেখা, শব্দের অর্থ জানা ইত্যাদি সুবিধা থাকে। এগুলাের বেশিরভাগই ই-পাৰ (EPUB) ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়। এসব ই-বুকের কোনাে কোনােটি কেবল বিশেষ ডিভাইসে পড়া যায়। যেমন ফিল্ডস বা আইবুক রিডারে পড়ার উপযােগী ই-বুক। তবে, ফিল্ড বা আইবুকের ক্ষেত্রে নিজ ফরম্যাট রয়েছে।
*চৌকস ই-বুক। এই বইগুলােতে লিখিত অংশ ছাড়াও অডিও/ভিডিও/এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে। এই বইগুলােকে স্মার্ট ই-বুক বলা হয়। এগুলাের কনটেন্ট মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ। যেমন এতে কুইজ থাকে। কুইজের উত্তর করার ব্যবস্থাও থাকে এবং উত্তর সঠিক হয়েছে কিনা তাও ই-বুক থেকেই জানা যায়। এমনকি এসব ই-বুকে ত্রিমাত্রিক ছবিও যুক্ত থাকে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এর উৎপাদনকারী বা নিমতািরা এ সকল ই-বুক এমন ফরম্যাটে তৈরি করেন যা কেবল নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারে চলে। যেমন ওপেন কম্পিউটার্সের তৈরি আইবুক কেবল আইপ্যাড বা ম্যাক কম্পিউটারে ভালােভাবে পড়া যায়।
• ই-বুকের অ্যাপস। এক্ষেত্রে ই-বুকটি নিজেই একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয়। অ্যাপস ডাউনলােড করে কম্পিউটার বা মােবাইল ফোনে পড়া যায়। মুদ্রিত বই-এর মতাে ই-বুকও কপিরাইটের আওতায় প্রকাশিত হয়ে থাকে।

