Type Here to Get Search Results !

বাংলাদেশে এইচআইভি ও এইডস-এর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান (Risk of HIV and AIDS in Bangladesh)

বাংলাদেশে এইচআইভি ও এইডস-এর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান (Risk of HIV and AIDS in Bangladesh)

বাংলাদেশে এইচআইভি ও এইডস-এর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান (Risk of HIV and AIDS in Bangladesh)
বাংলাদেশে এইচআইভি ও এইডস-এর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান (Risk of HIV and AIDS in Bangladesh)


বাংলাদেশে এইচআইভি ও এইডস-এর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান 

বর্তমান বিশ্বে এইডস এবং যৌনরােগ সংক্রমণ বহুল আলােচিত বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত হয়। এইডস এমনই মারাত্মক যে, তা মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেয় ও একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রত করে। এইডস মানব সভ্যতা এবং উন্নয়নের ক্রমাগত বিকাশের পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন আক্রান্ত লােকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। UNAIDS-এর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীব্যাপী প্রতি বছর নতুনভাবে এইচআইভি আক্রান্তদের অর্ধেকই হচ্ছে ২৫ বছরের কম বয়সী কিশাের-কিশােরী/যুবক-যুবতী। আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন কারণ, যেমন- শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযােগের অভাব ও আর্থিক অসামর্থ্য বিশ্বের দরিদ্র দেশসমূহের অল্পবয়সী জনগােষ্ঠীকে এইচআইভি সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ করে তােলে। বাংলাদেশেও এইচআইভি/এইডস-এর প্রাদুর্ভাব হয়েছে। তবে সাধারণ জনগােষ্ঠীর মধ্যে এটি এখনও মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। তবুও বিশ্ব পরিস্থিতি বিশেষ করে আঞ্চলিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের নিষ্ক্রিয় থাকার কোনাে অবকাশ নেই। আমাদের প্রতিবেশী দেশসমূহ যথা- ভারত, মায়ানমার, চীন, কম্বােডিয়া, ভিয়েতনাম, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডে এইচআইভি/এইডস-এর ব্যাপক বিস্তৃতি লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই এ দেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার আগেই আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগােষ্ঠীর যেমন মাদক গ্রহণকারী, মহিলা ও পুরুষ যৌনকর্মী, সমকামী, পেশাদার রক্ত বিক্রেতা, ভ্রাম্যমাণ জনগােষ্ঠী ইত্যাদির মধ্যে সামগ্রিকভাবে এইচআইভি সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব ১% এর নিচে। একই সুচ ও সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহারের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার প্রায় মহামারী পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার সামগ্রিকভাবে কম হলেও (অর্থাৎ শতকরা এক ভাগের নিচে) আগামীতে এ হার এরকমই থাকবে তার কোনাে নিশ্চয়তা নেই। এইডস মহামারী আকারে শুরুতেই প্রকাশ পায় না। বাংলাদেশেও যে এ মহামারীর বিস্ফোরণ ঘটবে

তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এইডস-এর কোনাে কার্যকর প্রতিকার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তাই এর প্রতিরােধের ব্যবস্থার কথাই বলতে হয়। সমগ্র বিশ্ববাসী প্রতি বছর ১লা ডিসেম্বর | ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ পালন করে। এই বিশেষ দিনে বিশ্বের সকল দেশ স্ব স্ব অবস্থান থেকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে এইডস প্রতিরােধের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.