Type Here to Get Search Results !

বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে? । বয়ঃসন্ধিকাল ও বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো কি কি?

বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে ও বয়ঃসন্ধিকাল ও বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো কি কি তা নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে? । বয়ঃসন্ধিকাল ও বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো কি কি?
বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে? । বয়ঃসন্ধিকাল ও বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো কি কি?

বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে?

দশ থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে বা মেয়েকে কিশাের বা কিশােরী হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এ সময়ে তাদের শরীর যথাক্রমে পুরুষের বা নারীর শরীরে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বয়ঃসন্ধিকাল হচ্ছে বাল্যকাল ও যৌবনকালের মধ্যবর্তী সময়। একটি শিশু ছেলে হােক কিংবা মেয়ে হােক, তার জন্ম থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশাের, যৌবন ও প্রৌঢ়ত্ব প্রতিটি স্তরেই তার সাধারণ বাস্থ্যের সাথে প্রজনন স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি জড়িত। তাই প্রজনন স্বাস্থ্য কী এবং এটা রক্ষা করার বিষয়ে সবারই জানা প্রয়ােজন।


বয়ঃসন্ধিকাল ও বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন গুলো কি কি?

মানুষের জীবনে বয়সের ভিত্তিতে অনেকগুলাে পর্যায় আসে। যেমন- শৈশব, বাল্য, কৈশাের, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব, বার্ধক্য। শিশুর জন্ম থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত | শৈশবকাল, ছয় থেকে দশ বছর বাল্যকাল, দশ থেকে উনিশ বছর কৈশােরকাল বলা হয়। কৈশােরকালে একটি ছেলে বা মেয়েকে কিশাের বা কিশােরী বলা হয়। কৈশােরকালে কিশাের বা কিশােরীরা শারীরিকভাবে পুৱষ বা নারীতে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই কৈশােরকালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল আগে শুরু হয়। মেয়েদের আট থেকে তেরাে বছর বয়সের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়। ছেলেদের দশ থেকে পনেরাে বছর বয়সে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়। কারাে কারাে ক্ষেত্রে এর আগে বা পরেও বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হতে পারে। 


বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন 

বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলাের মধ্যে দৈহিক বা শারীরিক পরিবর্তনগুলােই প্রথমে চোখে পড়ে। এই পরিবর্তন দেখলেই বােঝা যায় যে কারাে বয়ঃসন্ধিকাল চলছে। 

বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন কত প্রকার ও কি কি?

বয়ঃসন্ধিকালে যে সব পরিবর্তন দেখা দেয়, সেগুলাে প্রধানত ৩ প্রকার। 
১. শারীরিক ২. মানসিক ৩, আচরণিক

বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তন 

কিশােরদের ক্ষেত্রে যে সব পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তা হচ্ছে

ক. উচ্চতা ও ওজন বাড়ে। 
খ. শরীরে দৃঢ়তা আসে, বুক ও কাঁধ চওড়া হয়। 
গ. এ বয়সে দাড়ি গোঁফ উঠে। 
ঘ. স্বরভঙ্গ হয় ও গলার স্বর মােটা হয়।
ঙ. বীর্যপাত হয়। 

কিশােরীদের পরিবর্তনসমূহ নিম্নরূপ

ক. উচ্চতা ও ওজন বাড়ে। 
খ. শরীর ভারী হয়, শরীরের বিভিন্ন হাড় মােটা ও দৃঢ় হয়। 
গ. ঋতুস্রাব শুরু হয়।


বয়ঃসন্ধিকালে সবার ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তনগুলাে একই সময়ে ও একই রকম নাও হতে পারে। যেমন কিশােরীদের ক্ষেত্রে কারাে আগে বা পরে ঋতুস্রাব শুরু হতে পারে। কিশাের কিশােরীদের ক্ষেত্রে সকলের উচ্চতা একইভাবে নাও বাড়তে পারে।

বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক পরিবর্তন 

বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি নানা রকম মানসিক পরিবর্তনও হয়। এই পরিবর্তন স্বাভাবিক এবং সময়ের সাথে সাথে কিশাের-কিশােরীরা এইসব পরিবর্তনের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে। বয়ঃসন্ধিকালে যেসব মানসিক পরিবর্তন সাধারণভাবে দেখা যায়

ক. অজানা বিষয়ে জানার কৌতূহল বাড়ে। 
খ. শারীরিক পরিবর্তনের ফলে চলাফেরায় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও লজ্জা কাজ করে। 
গ. স্বাধীনভাবে চলতে ইচ্ছা করে। 
ঘ. নিকটজনের মনােযােগ, যত্ন ও ভালােবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়। 
ঙ. আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। 
চ. ছেলে ও মেয়েদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
ছ, মানসিক পরিপক্বতার পর্যায় শুরু হয়। 

বয়ঃসন্ধিকালে আচরণিক পরিবর্তন : 

বয়ঃসন্ধিকালে আচরণগত পরিবর্তনের মধ্যে আমরা দেখতে পাই

ক. প্রাপ্তবয়স্কদের মতাে আচরণ করে।
খ. বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন আলাদা ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। 
গ. প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। 
ঘ. দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.