ইকোলজিক্যাল পিরামিড কাকে বলে?
বিভিন্ন ইকোসিস্টেমের খাদ্য শৃঙ্খলের বিন্যাস সম্পর্কিত পিরামিড আকৃতির নকশাকে ইকোলজিক্যাল পিরামিড বলে। সাধারণত একটি ইকোসিস্টেমে উৎপাদকের তুলনায় প্রাথমিক খাদকের সংখ্যা কম থাকে। আবার প্রাথমিক খাদকের তুলনায় সেকেন্ডারি খাদকের সংখ্যা কম থাকে। সেকেন্ডারি খাদকের তুলনায় টারসিয়ারি খাদকের সংখ্যা আরও কম থাকে। খাদ্য স্তরগুলাের মধ্যকার এরূপ সম্পর্ক নিয়ে নকশা আঁকলে একটি পিরামিডের ন্যায় চিত্র পাওয়া যাবে।
ইকোলজিক্যাল পিরামিড কত প্রকার ও কি কি?
ইকোলজিক্যাল পিরামিড সাধারণত তিন প্রকারের হয়। যথা১। সংখ্যার পিরামিড,
২। জীব ভরের পিরামিড এবং
৩। শক্তির পিরামিড।
১। সংখ্যার পিরামিড:
এতে প্রত্যেক ফুড। চেইনের প্রথম খাদ্যস্তরের জীবের সংখ্যা শেষ খাদ্য স্তরের জীবের সংখ্যার মঃসেকেন্ডারি খাদক তুলনায় বেশি। ফুড চেইনের খাদ্যস্তরের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে সম্পর্ক দেখানাের জন্য সৃষ্ট পিরামিড আকৃতির লৈখিক অঙ্কনকে সংখ্যার পিরামিড বলা হয়।
চিত্র ১৪.২.১: সংখ্যার পিরামিড এতে দেখা যায় ফুড চেইনের শুরুতে খাদ্য স্তরে উদ্ভিদ অবস্থিত এবং এদের সংখ্যা অনেক বেশি। দ্বিতীয় খাদ্য স্তরে প্রাণীর সংখ্যা (ফড়িং) প্রথম স্তরের উদ্ভিদের সংখ্যা হতে কম। তেমনি ৩য় স্তরের জীবের (ব্যাঙ) সংখ্যা ২য় স্তরের সংখ্যা হতে কম। অর্থাৎ প্রতি স্তরে জীবের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে এবং একটি ত্রিকোণাকৃতির পিরামিডের আকার ধারণ করছে।
২। জীবভরের পিরামিড (Pyramid of Biomass) :
কোন পরিবেশে কোন। নির্দিষ্ট সময়ে জীবের শুকনা ওজনকে জীবভর (Biomass) বলে। কোন একটি ফুড চেইনের খাদ্যস্তরগুলাের জৈবিক ওজন নেয়া হয় এবং এদের
মাসোশী থাক, ফলাফল দ্বারা লৈখিক চিত্র অঙ্কন করলে এটাকে পিরামিডের ন্যায় দেখায়।
৭শ শক্সি শনিশীল একেই জীব ভরের পিরামিড বলে। চিত্রে দেখা যায় একটি উদ্ভিদের জৈবিক ওজন উহার উপর নির্ভরশীল পাখিদের ওজন হতে অনেক বেশি। পাখিদের ওজন উহাদের উপর নির্ভরশীল পরজীবী পােকামাকড়ের ওজনের চেয়ে খুকের উ নিশীল বেশি। যদিও পােকামাকড়ের সংখ্যা অনেক।

