Type Here to Get Search Results !

রক্তের গ্রুপ কাকে বলে । সার্বজনীন দাতা রক্ত গ্রুপ কোনটি । রক্ত গ্রুপের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি

রক্তের গ্রুপ কাকে বলে । সার্বজনীন দাতা রক্ত গ্রুপ কোনটি । রক্ত গ্রুপের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি তা নিয়ে বিস্তারিত এই পোস্টের মাধ্যমের জানার চেষ্টা করব।

রক্তের গ্রুপ, অ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি সম্পকে জানার চেষ্টা করাব । কোন রক্তের গ্রুপ কোন কোন ব্যক্তি কে রক্ত দিতে পারে এবং কোন কোন ব্যক্তি কোন কোন রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিকে দিতে পারবে না তা নিয়ে বিস্তারিত জনব। 


    রক্তের গ্রুপ কাকে বলে । রক্তের গ্রুপ 

    লােহিত রক্ত কণিকার প্লাজমামেমব্রেনে অবস্থিত বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের
    এ শ্রেণিবিন্যাসকে রক্ত গ্রুপ (Blood Group) বলে। 

    আমেরিকার জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার (Karl Landsteiner) ১৯০১ সালে মানুষের রক্তের শ্রেণিবিন্যাস করেন। রক্ত কণিকায় অ্যান্টিজেনের উপস্থিত ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে রক্তের যে শ্রেণিবিন্যাস করেন, তা ABO ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত। অনেক সময় একে ল্যান্ডস্টেইনার এর ব্লাড গ্রুপ বলে। 

    অ্যান্টিজেন কাকে বলে । অ্যান্টিজেন

    লােহিত রক্ত কণিকার প্লাজমামেমব্রেনে মিউকোপলিস্যাকারাইড জাতীয় পদার্থ বা অ্যান্টিবডি উৎপাদনের উদ্দীপনা যােগায় তাকে অ্যান্টিজেন বলে। 


    অ্যান্টিবডি কাকে বলে । অ্যান্টিবডি

    অ্যান্টিবডি হচ্ছে দেহে বহিরাগত পদার্থের প্রতি সাড়া দিয়ে প্লাজমা কোষ (B-লিম্ফোসাইট) থেকে উৎপন্ন প্রােটিনধর্মী পদার্থ যা অ্যান্টিজেনের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অ্যান্টিজেনকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিবডি থাকে প্লাজমা প্রােটিন রূপে। অধিকাংশ অ্যান্টিবডি ব্লাড গ্রুপে ইস্যুনাে গ্লোবিউলিন G(1gG) বা M(lgM) কখনাে কখনাে ও AlgA)। যে অ্যান্টিবডির সঙ্গে অ্যান্টিজেন বিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যায় তাকে অ্যাটিনিন বলে।

    মানুষের রক্তে A ও B-এ দু'ধরনের অ্যান্টিজেন থাকতে পারে। অ্যান্টিজেন A ও B-র সাথে রক্ত রসে কতকগুলাে স্বতঃস্ফুর্ত অ্যান্টিবডি রয়েছে। এগুলােকে Ante A এবং Ante B বলে। এভাবে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির উপস্থিতির ভিত্তিতেই রক্তকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা যায়, যথা: A, B, AB ও 0। A ব্লাড গ্রুপে A অ্যান্টিজেন, B গ্রুপে B অ্যান্টিজেন এবং AB গ্রুপে A ও B উভয় অ্যান্টিজেন থাকে । 0 গ্রুপের রক্তের কণিকা ঝিল্লিতে কোন অ্যান্টিজেন নেই কিন্তু রক্তরসে a ও b দু'রকম অ্যান্টিবডিই থাকে। 

    A গ্রুপের অ্যান্টিবডি B রক্ত গ্রুপের লােহিত কণিকাকে জমাট বেঁধে দেয়। ঠিক তেমনি B গ্রুপের অ্যান্টিবডি A গ্রুপের লােহিত কণিকাকে জমিয়ে দেয়। কিন্তু AB গ্রুপের রক্ত অন্য গ্রুপের রক্তকে জমাতে পারে না, কারণ সেখানে কোন অ্যান্টিবডি নেই। ঠিক একই কারণে 0 গ্রুপের রক্ত নিজের গ্রুপের রক্ত ছাড়া অন্য তিন গ্রুপের রক্তকে জমিয়ে দেয়। অর্থাৎ কারও দেহে 0 গ্রুপের রক্ত থাকলে তিনি কেবল 0 গ্রুপের রক্ত নিতে পারবেন কিন্তু অন্য সব গ্রুপকেই রক্ত দিতে পারবেন।


    রক্ত গ্রুপের বৈশিষ্ট্য :





    উপরােক্ত তালিকা থেকে দেখা যায় যে, A গ্রুপের দাতা A ও AB রক্ত গ্রহীতাকে রক্ত দিতে পারে। তেমনি B গ্রুপের দাতা B ও AB গ্রুপের গ্রহীতাকে রক্ত দিতে পারে। AB গ্রুপের গ্রহীতাকে A, B, AB ও 0 অর্থাৎ সকল গ্রুপের রক্ত দেখা যায়। এ কারণে AB গ্রুপের রক্তকে সার্বজনীন গ্রহীতা (Universal recipient) বলে। অন্যদিকে 0 গ্রুপের রক্ত সকল গ্রুপ নিতে পারে, তার জন্য 0 গ্রুপের রক্তকে সার্বজনীন দাতা Universal donor) বলে।

    সারসংক্ষেপ

    লােহিত রক্ত কণিকার প্লাজমামেমব্রেনে অবস্থিত বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাসকে রক্ত গ্রুপ বলে। আমেরিকার জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার ১৯০১ সালে মানুষের রক্তের শ্রেণিবিন্যাস করেন। রক্ত কণিকায় অ্যান্টিজেনের উপস্থিত ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে রক্তের যে শ্রেণিবিন্যাস করেন, তা AB0 ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত। অনেক সময় একে ল্যান্ডস্টেইনার এর ব্লাড গ্রুপ বলে। লােহিত রক্ত কণিকার প্লাজমামেমব্রেনে মিউকোপলিস্যাকারাইড জাতীয় পদার্থ বা অ্যান্টিবডি উৎপাদনের উদ্দীপনা যােগায় তাকে অ্যান্টিজেন বলে। অ্যান্টিবডি হচ্ছে দেহে বহিরাগত পদার্থের প্রতি সাড়া দিয়ে প্লাজমা কোষ (B-লিম্ফোসাইট) থেকে উৎপন্ন প্রােটিনধর্মী পদার্থ যা অ্যান্টিজেনের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অ্যান্টিজেনকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। মানুষের রক্তে A ও B-এ দু'ধরনের অ্যান্টিজেন থাকতে পারে। 0 গ্রুপের রক্ত সকল গ্রুপ নিতে পারে, তার জন্য 0 এরুপের রক্তকে সার্বজনীন। দাতা বলে।


    Post a Comment

    0 Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.