বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তা ও সুষম খাদ্য এবং বয়স, দৈহিক গঠন ও কাজের ধরনভেদে পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
![]() |
| বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তা ও সুষম খাদ্য এবং বয়স, দৈহিক গঠন ও কাজের ধরনভেদে পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তা |
বয়ঃসন্ধিকালে পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তা
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়ােজন। সুস্থ দেহেই বাস করে সুন্দর মন। শরীর সুস্থ না থাকলে কোনাে কিছুতেই আনন্দ পাওয়া যায় না। লেখাপড়া করতেও ইচ্ছে করে না। সেজন্য খাদ্য ও পুষ্টির দরকার। আবার যে কোনাে খাবার খেলেই যে শরীর ভালাে থাকবে তা নয়। কারণ সব ধরনের খাদ্যেই শরীরের জন্য প্রয়ােজনীয় সব ধরনের খাদ্য উপাদান থাকে না। সেজন্য খাদ্য নির্বাচনের সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন প্রতিদিনের খাবারে আমিষ, শর্করা, চর্বি বা তেল, খনিজ দ্রব্য, ভিটামিন ও পানি প্রয়ােজনীয় পরিমাণে পাওয়া যায়।বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তা ও সুষম খাদ্য
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের পুষ্টির প্রয়ােজন খুব বেশি। কেননা এই সময়ে ছেলে-মেয়েরা হঠাৎ বেড়ে উঠে এবং তাদের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি | পায়। সেজন্য তাদের প্রতিদিনই যথাযথ পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়ােজন। কিন্তু অনেক ছেলে-মেয়ে ও তাদের অভিভাবকেরা এ বিষয়ে গুরুত্ব দেন না। কেউ কেউ মনে করেন যে প্রয়ােজনীয় খাদ্য উপাদান ও পুষ্টি শুধুমাত্র দামি খাবার ও ফলমূলেই পাওয়া যায়। কিন্তু এ ধারণা ভুল। একটু সচেতন হলেই সহজপ্রাপ্য ও সুলভমূল্যের খাদ্যদ্রব্য থেকে প্রয়ােজনীয় খাদ্য উপাদান পাওয়া যায়।
বয়স, দৈহিক গঠন ও কাজের ধরনভেদে পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তা
৬টি খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বিভিন্ন খাদ্যের প্রয়ােজনীয় পরিমাণের সমাহারকে সুষম খাদ্য বলে। বয়সভেদে এই “প্রয়ােজনীয় পরিমাণের তারতম্য হতে পারে। যেমন ১৩/১৪ বছর বয়সের কোনাে কিশাের বা কিশােরীর পুষ্টির প্রয়ােজন একটি ৮/৯ বছরের শিশুর চেয়ে বেশি। একই বয়সের মেয়ে শিশু ও ছেলে শিশু, কিশাের-কিশােরী, তরুণ-তরুণীর পুষ্টির প্রয়ােজনে কোনাে তারতম্য নেই। আবার দু’জন একই বয়সের তরুণ বা তরুণী একজন বেশ দীর্ঘকায় ও স্বাস্থ্যবান এবং অপরজন ছােটখাটো ও সাধারণ স্বাস্থ্যের হলে, দৈহিক গঠনের কারণে প্রথমজনের প্রয়ােজনীয় পুষ্টির তথা খাদ্যের পরিমাণ দ্বিতীয় জনের চেয়ে বেশি হবে। দুজন একই বয়সী ও একই রকম দৈহিক গঠনের পুরুষের মধ্যে যিনি বেশি দৈহিক পরিশ্রম করেন তার খাদ্যের প্রয়ােজন বেশি হতে পারে। দু'জন সমবয়সী এবং একই রকম দৈহিক গঠন সম্পন্ন মেয়ের ক্ষেত্রেও এটি প্রযােজ্য। এভাবে বয়স, দৈহিকগঠন ও কাজের ধরনভেদে পুষ্টির প্রয়ােজনীয়তার তারতম্য হয়। কারণ খাদ্যের ৬টি উপাদানের প্রত্যেকটিই বয়ঃসন্ধিকালের ছেলে-মেয়েদের দৈহিক বৃদ্ধি ও সুস্থতার জন্য খুব প্রয়ােজন। এগুলাে দেহে প্রয়ােজনীয় পুষ্টি যােগায়। অন্যথায় যথাযথ পুষ্টির অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। এছাড়া প্রয়ােজনীয় পুষ্টির অভাবে ছেলেমেয়েরা নানা রকম রােগে আক্রান্ত হয়।


