মুনিবা মাজারীর জীবনী । Biography of Muniba Mazari. মুনিবা মাজারীর হলে পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত মহিলা ব্যক্তি । তিনি তার জীবনে অনেক খারাপ সময় পার করেছেন। আজকে আমরা মুনিবা মাজারীর জীবনী । Biography of Muniba Mazari. নিয়ে জানব।
মুনিবা মাজারীর জন্মস্থান
মার্চ 1987, জন্ম, মুনিবা মাজারি বেলুচ পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খানে জন্মগ্রহণ করেন? জানুয়ারী 1988। জাতিসত্তা, মুনিবা মাজারি, একজন বেলুচ পটভূমি থেকে, মাজারী গোত্রের অন্তর্গত। . তিনি একটি রক্ষণশীল এবং গভীর-মূল সাংস্কৃতিক পরিবারে বেড়ে ওঠেন।ফেব্রুয়ারি 1988 মুনিবার বাবা-মা,
মুনিবার বাবা ছিলেন একজন শিল্পী এবং তার মা ছিলেন একজন বলিষ্ঠ মহিলা এবং তাদের বাড়ির দায়িত্ব ছিল। . তার বাবার সাথে তার দূরবর্তী সম্পর্ক ছিল, বিপরীতে, তার মা তার জীবনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিশেষ করে দুর্ঘটনার পরে।প্রারম্ভিক জীবন জানুয়ারী 2001
প্রারম্ভিক জীবন মুনিবা পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে গিয়েছিলেন এবং পরে চারুকলায় স্নাতকের জন্য তার জন্মস্থানের কলেজে ভর্তি হন। তিনি একজন উজ্জ্বল মেয়ে ছিলেন এবং আর্টস এবং পেইন্টিংয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন।নভেম্বর 2005 সালে বিয়ে
১৮ বছর বয়সে পড়াশোনা শেষ করার আগেই বিয়ে। রক্ষণশীল বেলুচ পরিবারের কারণে তিনি পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একজন পাইলট খুররম শাহজাদের সাথে বিয়ে করেছিলেন।বিপত্তি ফেব্রুয়ারি 2008.
বিপত্তি 21 বছর বয়সে মুনিবা এবং তার স্বামী কোয়েটা থেকে রহিম ইয়ার খান যাওয়ার সময় একটি ভয়ানক গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন।তিনি মেরুদন্ডে গুরুতর আঘাত এবং আরও বেশ কয়েকটি আঘাত সহ্য করেছিলেন যার কারণে তার পুরো নীচের শরীর অবশ হয়ে গিয়েছিল এবং তার প্যারাপ্লেজিক হয়ে গিয়েছিল। প্রায় 9 বছর আগে বিয়ে করার প্রায় 2 বছর পরে, আমি একটি গাড়ি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলাম।
কোনোভাবে আমার স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। . তিনি নিজেকে বাঁচিয়ে লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। আমি তার জন্য খুশি। কিন্তু আমি গাড়ির ভেতরেই রয়েছি এবং অনেক আঘাত সহ্য করেছি।
আমার ডান হাত ভেঙ্গে গেছে। হুইস্ট ভেঙ্গে গেছে, কাঁধের হাড় এবং কলারবোন ভেঙ্গে গেছে। আর পাঁজরের খাঁচায় আঘাতের কারণে ফুসফুস, লিভার মারাত্মকভাবে আহত হয়। আমি শ্বাস নিতে পারিনি। আমি প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। সেজন্য আমি যেখানেই যাই সেখানে আমাকে ব্যাগটি পরতে হয়। কিন্তু সেই আঘাত আমাকে এবং আমার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে. বেঁচে থাকার আমার উপলব্ধি।
আমার জীবন ছিল মেরুদণ্ডের আঘাত। , আমার মেরুদণ্ড পুরোপুরি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল। এবং আমি আমার বাকি জীবনের জন্য পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিলাম। তাই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বেলুচিস্তানের এক দূরবর্তী এলাকায়, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই, হাসপাতাল নেই, অ্যাম্বুলেন্স নেই। আমি কোথাও মাঝখানে ছিলাম.
উদ্ধারে এগিয়ে আসেন বহু মানুষ। , ওরা আমাকে গাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যায়। যখন তারা আমাকে টেনে বের করে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি আমার মেরুদণ্ডের সম্পূর্ণ লেনদেন পেয়েছি। এবং এখন এই বিতর্ক চলছিল. আমরা এটা এখানে রাখা উচিত? তিনি মারা যাচ্ছেন বা আমরা কোথায় যেতে হবে.
কোনো অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। রাস্তার কোণে দাঁড়িয়ে ছিল একটি চার চাকার জিপ। তারা তাকে জিপের পিছনে বসিয়ে এই জায়গা থেকে ৩ ঘন্টা দূরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। , এবং আমি এখনও সেই ঝাঁঝালো যাত্রার কথা মনে করি।
আমি সব ভেঙে পড়েছিলাম। তারা আমাকে জীপের পিছনে ফেলে দেয় এবং আমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনই আমি বুঝতে পারি যে আমার অর্ধেক শরীর অবশ হয়ে গেছে এবং অর্ধেক শরীর ভেঙে গেছে।
আমি অবশেষে একটি হাসপাতালে শেষ হয়ে গেলাম যেখানে আমি আড়াই মাস ছিলাম। . আমি একাধিক অস্ত্রোপচার করেছি। ডাক্তাররা আমার বাহুতে প্রচুর টাইটানিয়াম রেখেছেন এবং আমার পিঠ ঠিক করার জন্য আমার পিঠে প্রচুর টাইটানিয়াম ছিল। ওটা। কেন? পাকিস্তানে মানুষ আমাকে পাকিস্তানের ‘আয়রন লেডি’ বলে ডাকত।
মে 2008, আশার সন্ধান করা,
ভাঙ্গা শরীর নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মাজারি নিজেকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছবি আঁকা শুরু করেন। তিনি "দুঃখের নিস্তেজ মুহুর্তগুলিতে কিছু রঙ যোগ করতে" আঁকা শুরু করেছিলেন। এটি একটি চিত্রকর্ম যা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।
এপ্রিল 2010, জীবন যুদ্ধ
এপ্রিল 2010, জীবন যুদ্ধ 2.3 বছর ধরে শয্যাশায়ী। তিনি চিকিত্সা এবং ফিজিওথেরাপির সাহায্যে একটি হুইলচেয়ারে চলে যান।তার মা তাকে অন্ধকারের মধ্য দিয়ে অনুপ্রাণিত করে বলেছিলেন: 'এটিও কেটে যাবে। . ঈশ্বর আপনার জন্য একটি বড় পরিকল্পনা আছে. আমি এটা কি জানি না, কিন্তু তিনি নিশ্চয় আছে. '
জানুয়ারী 2011, মাতৃত্ব।
দুর্ঘটনার চার বছর পর, মুনিবা তার ছেলে নাইলকে দত্তক নেন, তার বেঁচে থাকার একটি শক্তিশালী কারণ। মাতৃত্বের অভিজ্ঞতার পর, তিনি শিশুদের অধিকার এবং শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করা একজন সামাজিক কর্মী হয়ে ওঠেন।
মার্চ 2014. প্রবাহিত সম্পর্ক
তার অক্ষমতার কারণে তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছিল এবং সে তার দত্তক পুত্রের সাথে একাই ছিল। , শুধু তার স্বামী নয়, তার বাবাও এমন যন্ত্রণায় পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন।যদিও, সে তার ব্যথাকে "সুন্দর" বলে মনে করে, কারণ এটি তাকে ব্যথার মধ্যেও অন্যদের সাথে সংযোগ করতে দেয়।
জুলাই 2014, পাকিস্তানের আয়রন লেডি
জুলাই 2014, ইসলামাবাদে আয়োজিত একটি TEDx ইভেন্টে পাকিস্তানের আয়রন লেডি মাজারির অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতা তাকে জনসাধারণের দৃষ্টিতে চালিত করে।তিনি মানুষকে জীবন ছেড়ে না দেওয়ার আহ্বান জানান এবং লিঙ্গ বৈষম্য ও বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। ডিসেম্বর 2014। মিডিয়াতে কাজ করা পিটিভির পরিচালক তাকে ইসলামাবাদ, টেড টকের মাধ্যমে খুঁজে পান এবং তাকে নেটওয়ার্কে চাকরির প্রস্তাব দেন।
নেটওয়ার্কে চাকরি।
টেড টক এবং তার নেটওয়ার্কে একটি কাজের প্রস্তাব. তিনি প্রোগ্রামে কাজ করেছেন। 'ক্লাউন টাউন' শিশু এবং বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করে। মুনিবা একজন জাতীয় অ্যাঙ্করপার্সনও হয়েছিলেন এবং হাম নিউজে ‘ম্যায় নাহি হাম’ অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানের হোস্ট করেছিলেন।স্প্রেডিং উইংস
ডিসেম্বর 2015। স্প্রেডিং উইংস মুনিবা ইউএন উইমেন, পাকিস্তানের জাতীয় রাষ্ট্রদূত হন। 2015 সালের 100 অনুপ্রেরণামূলক মহিলার তালিকাভুক্ত হওয়ার পর। বিবিসি দ্বারা। , তিনি 2016-এর জন্য ফোর্বস 30-এর নীচে 30 তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছেন।শিল্পী হিসেবে মুনিবা
2016 সালের জানুয়ারিতে শিল্পী হিসেবে মুনিবা একজন প্রতিষ্ঠিত চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠেন। সঙ্গে স্লোগান। আপনার দেয়াল রং পরতে দিন. তিনি মুনিবার ক্যানভাস নামে তার আর্ট ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন। . তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে তার শিল্প ও চিত্রকর্ম উপস্থাপন করেন।আইনি লড়াই
জানুয়ারী 2017 আইনি লড়াই, তার প্রাক্তন স্বামী খুররম শাহজাদ, 10,000,000 পাকিস্তানি রুপি ( USD 65,000. 00) দাবি করার জন্য মুনিবার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। তবে, আদালত 2018 সালের জানুয়ারিতে মামলাটি খারিজ করে দেয়।হুইলচেয়ার মডেল
এপ্রিল 2017। প্রথমে, হুইলচেয়ার মডেল মুনিবা একজন মডেল হয়ে ওঠেন যা লোকেদের থেকে লুকানোর ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তিনি পুকুরের অলৌকিক মহিলা হিসাবে পুকুর দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিল। . তিনি এশিয়ার প্রথম হুইলচেয়ার-ব্যবহারকারী মডেল হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক হেয়ারড্রেসিং সেলুন, টনি অ্যান্ড গাই দ্বারাও নির্বাচিত হয়েছিলেন।সামাজিক ক্ষমতায়ন
জানুয়ারী 2018. সামাজিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক কাজের জন্য নিবেদিত, মুনিবা পাকিস্তানে 'ধীরাজ, বোলো', 'দিল, সে পাকিস্তান'-এর মতো বিভিন্ন সামাজিক প্রচারণায় অংশ নিয়েছিল, শিক্ষা দেশপ্রেম ও ঐক্যের জন্য সচেতনতা ছড়ায়। তিনি পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় যুব দলেও নিযুক্ত হয়েছেন। পরিষদ.ডিসেম্বর 2018, সক্রিয়তা মুনিবা
অ্যাক্টিভিজম মুনিবা অসংখ্য টিভি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান, অ্যাসিড হামলার শিকারদের জন্য বক্তৃতা, লিঙ্গ সমস্যা, মেয়েশিশু, শিক্ষা, শারীরিকভাবে যৌন অক্ষম, নির্যাতিত শিকার এবং ট্রান্সজেন্ডার সমস্যা পরিচালনা করেছে।প্রেরণাদায়ী স্পিকার
জানুয়ারী 2020, তার শক্তিশালী, অনুপ্রেরণামূলক গল্প এবং ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বের সাথে প্রেরণাদায়ী স্পিকার। তিনি তার সাথে বিভিন্ন ফ্রন্টে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রথম বিরতি ছিল TED Talks, ইসলামাবাদ।ভবিষ্যতের
মার্চ 2021, ভবিষ্যত মাজারির জীবন-পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতার দিকে তাকানো তাকে একজন সক্রিয় কর্মীতে পরিণত করেছে যারা বৈষম্য বা সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছে এমন নারী এবং মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করেছে যাতে তারা ভয় না পায় বা ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করে।তিনি তার শিল্পের মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করছেন এবং সমাজের জন্য কাজ করছেন। . তিনি বলেন, "আপনি আপনার নিজের জীবনের গল্পের নায়ক এবং নায়ক, কখনও হাল ছাড়বেন না।" আমি সবসময় বলি যে লোকেরা এতটাই ভাগ্যবান যে বুঝতেও পারে না যে আপনি ভাবছেন। ঠিক আছে, আপনি কোন অর্থে ভাগ্যবান।
ঠিক আছে, আপনি যে নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন তা একটি আশীর্বাদ ছিল। এটা আলিঙ্গন. পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা আপনি এখন যে জীবন যাপন করছেন সেই জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখছেন। তোমার কোন ধারণা নেই. আপনি যে প্রতিটি শ্বাস নিচ্ছেন তা আলিঙ্গন করুন। আপনার জীবন উদযাপন. এটা বাস.
মৃত্যুর আগে মরবেন না। আমরা সবাই মারা যাই।
